প্রোগ্রামিং ভাষা →পাট-৩
ক্ষুদ্র লেখক।
বিষয়ঃ♦নিম্নস্তরের ভাষা (Low Level Language)বা( First Generation language)
আসসালাসু আলাইকুম।আপনারা কেমন আছেন?
আজকে আলোচনা হবে মেশিন ভাষা নিয়ে।
যে স্তরের ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম কোন নির্দিষ্ট মেশিনের জন্য লেখা হলে তা অন্য মেশিনে চলে না তাকে নিম্নস্তরের ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ,নিম্নস্তরের ভাষা হচ্ছে মেশিন নির্ভর। এ ভাষাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১, মেশিন ভাষা (Machine Language)
২, অ্যাসেম্বলি ভাষা (Assembly Language)
প্রথমে মেশিন ভাষা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
১♦মেশিন ভাষাঃ কম্পিউটার প্রোগ্রাম করার মূল ভাষা হলো মেশিন ভাষা বা যান্ত্রিক ভাষা। যে ভাষাতেই প্রোগ্রাম করা হোক না কেন তা যান্ত্রিক ভাষাতেই রূপান্তরিত হয়। যান্ত্রিক ভাষার প্রোগ্রাম গুলো করা হয় বাইনারি (০/১) সংখ্যা দিয়ে। যান্ত্রিক ভাষায় যে সব নির্দৈশ দেয়া হয় তাদেরকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১, গাণিতিক অর্থাৎ যোগ, বিয়োগ,গুন,ভাগ।
২,নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ লোড, স্টোর, জাম্প।
৩,ইনপুট -আউটপুট অর্থাৎ পড়,লেখ।
৪,প্রত্যক্ষ ব্যবহার অর্থাৎ আরম্ভ (Start), থাম(Hold), শেষ(End)
মেশিন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে বলা হয় অবজেক্ট প্রোগ্রাম আর অন্য যে কোন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে বলা হয় সোর্স প্রোগ্রাম।
♦♦ মেশিন বা যান্ত্রিক ভাষার সুবিধা/বৈশিষ্টঃ
১, এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পিউটার সহজেই বুঝতে পারে।
২ লিখিত প্রোগ্রামের জন্য অন্য কোন অনুবাদকের প্রয়োজন হয় না।
৩,এই ভাষা দিয়ে বর্তনী বা মেমরি অ্যাড্রেসের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ সম্ভব।
৪,সবচেয়ে কম পরিমান লজিক ও মেমরি পরিসরে এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম নির্বাহ সম্ভব।
৫,এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পইটার দ্রুত নির্বাহ করতে পারে।
♦♦মেশিন বা যান্ত্রিক ভাষার অসুবিধাঃ
১,এই ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা অত্যন্ত কষ্টকর ও সময় সাপেক্ষ।
২,এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম সহজেই বোঝা যায় না।
৩, এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মিশিনে ব্যবহার করা যায় না।
৪,মেশিন ভাষা ডিবাগ বা পরিবর্তন করা কষ্টকর।
৫,দক্ষ প্রোগ্রামারের প্রযোজন হয়।
বিঃদঃ পরবর্তী পোস্ট হবে অ্যাসেম্বলি ভাষা।
আপাততো সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ্র কাছে সবসময় এই দোয়াই করি। আল্লাহ্ হাফেজ…
ক্ষুদ্র লেখক।
বিষয়ঃ♦নিম্নস্তরের ভাষা (Low Level Language)বা( First Generation language)
আসসালাসু আলাইকুম।আপনারা কেমন আছেন?
আজকে আলোচনা হবে মেশিন ভাষা নিয়ে।
যে স্তরের ভাষায় লেখা প্রোগ্রাম কোন নির্দিষ্ট মেশিনের জন্য লেখা হলে তা অন্য মেশিনে চলে না তাকে নিম্নস্তরের ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ,নিম্নস্তরের ভাষা হচ্ছে মেশিন নির্ভর। এ ভাষাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১, মেশিন ভাষা (Machine Language)
২, অ্যাসেম্বলি ভাষা (Assembly Language)
প্রথমে মেশিন ভাষা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
১♦মেশিন ভাষাঃ কম্পিউটার প্রোগ্রাম করার মূল ভাষা হলো মেশিন ভাষা বা যান্ত্রিক ভাষা। যে ভাষাতেই প্রোগ্রাম করা হোক না কেন তা যান্ত্রিক ভাষাতেই রূপান্তরিত হয়। যান্ত্রিক ভাষার প্রোগ্রাম গুলো করা হয় বাইনারি (০/১) সংখ্যা দিয়ে। যান্ত্রিক ভাষায় যে সব নির্দৈশ দেয়া হয় তাদেরকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১, গাণিতিক অর্থাৎ যোগ, বিয়োগ,গুন,ভাগ।
২,নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ লোড, স্টোর, জাম্প।
৩,ইনপুট -আউটপুট অর্থাৎ পড়,লেখ।
৪,প্রত্যক্ষ ব্যবহার অর্থাৎ আরম্ভ (Start), থাম(Hold), শেষ(End)
মেশিন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে বলা হয় অবজেক্ট প্রোগ্রাম আর অন্য যে কোন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে বলা হয় সোর্স প্রোগ্রাম।
♦♦ মেশিন বা যান্ত্রিক ভাষার সুবিধা/বৈশিষ্টঃ
১, এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পিউটার সহজেই বুঝতে পারে।
২ লিখিত প্রোগ্রামের জন্য অন্য কোন অনুবাদকের প্রয়োজন হয় না।
৩,এই ভাষা দিয়ে বর্তনী বা মেমরি অ্যাড্রেসের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ সম্ভব।
৪,সবচেয়ে কম পরিমান লজিক ও মেমরি পরিসরে এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম নির্বাহ সম্ভব।
৫,এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পইটার দ্রুত নির্বাহ করতে পারে।
♦♦মেশিন বা যান্ত্রিক ভাষার অসুবিধাঃ
১,এই ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা অত্যন্ত কষ্টকর ও সময় সাপেক্ষ।
২,এই ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম সহজেই বোঝা যায় না।
৩, এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মিশিনে ব্যবহার করা যায় না।
৪,মেশিন ভাষা ডিবাগ বা পরিবর্তন করা কষ্টকর।
৫,দক্ষ প্রোগ্রামারের প্রযোজন হয়।
বিঃদঃ পরবর্তী পোস্ট হবে অ্যাসেম্বলি ভাষা।
আপাততো সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ্র কাছে সবসময় এই দোয়াই করি। আল্লাহ্ হাফেজ…