অনুবাদক প্রোগ্রাম জেনে নিন। পাট ২ Translator Software

অনুবাদক প্রোগ্রাম জেনে নিন।  পাট ২
Translator Software

#ক্ষুদ্র_লেখক..

আসসালামু আলাইকুম।  আজকের বিষয় তো দেয়া আছে।ইনশাআল্লাহ  চলেন শুরু করা যাক..


২,ইন্টারপ্রেটার প্রোগ্রামঃ

ইন্টারপ্রেটার এর কাজ হলো উচ্চস্তরের ভাষাকে মেশিন ভাষায় পরিণত করা। কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামকে এক সাথে পড়ে এবং অনুবাদ করে। কিন্তু ইন্টারপ্রেটার এক লাইন করে পড়ে ও অনুবাদ করে

Source Program→Interpreter→Result
         এটি ইন্টারপ্রেটেশনের প্রক্রিয়া।

♦ ইন্টারপ্রেটার এর কাজ বা সুবিধাঃ
১,এটি ব্যবহারে প্রোগ্রামের ভূল সংশোধন করা এবং পরিবর্তন করা সহজ হয়।
২, Interpreter Program আকারে ছোট হয় এবং মেমরি স্থানে কম জায়গা দখল করে।
৩,অনুদিত প্রোগ্রামকে মেমরিতে রাখতে হয় না।
৪,ডিব্যাগিং ও টেস্টিং এর ক্ষেত্রে দ্রুত গতি সম্পন্ন।
৫,এটি সাধারণত ছোট কম্পিটারে ব্যবহার করা হয়।

♦ ইন্টারপ্রেটার এর অসুবিধাঃ
১, ইন্টারপ্রেটার ব্যবহারে প্রোগ্রাম কার্যকরঅ করতে কম্পাইলারের তুলনায় বেশি সময় লাগে।
২,ইহার মাধ্যমে রূপান্তরিত প্রোগ্রাম সম্পূর্ণরূপে  মেশিন প্রোগ্রামে রূপান্তরিত হয় না।
৩,প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য বেশি সময় লাগে।
৪,প্রতিটি কাজের পূর্বে অনুবাদ করার প্রয়োজন হয়।

♦কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটারেরর মধ্যে পার্থক্যঃ
 ♦কম্পাইলারঃ
১,কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটি একসাথে অনুবাদ করে।
২, প্রোগ্রামে কোন ভুল থাকলে তা একেবারে প্রর্দশন করে।
৩, কম্পাইলার এর জন্য প্রধান মেমরির বেশি জায়গা প্রয়োজন হয়।
৪,ডিবাগিং ও টেস্টিং এর ক্ষেত্রে ধীর গতি সম্পন্ন।
৫,প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম সময় লাগে।
৬, কম্পাইলারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম একবার কম্পাইলার করা হলে পরবর্তীতে আর করার প্রয়োজন হয় না।

♦ ইন্টারপ্রেটারঃ
১, ইন্টারপ্রেটার এক লাইন করে পড়ে এবং অনুবাদ করে।
২, ইন্টারপ্রেটার প্রতিটি  লাইনের ভুল প্রর্দশন করে অনুবাদ কার্য বন্ধ করে দেয়।
৩, ইন্টারপ্রেটার এর জন্য প্রধান মেমরির বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না।
৪, প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য বেশি সময় লাগে।
৫,ডিব্যাগিং ও টেস্টিং এর ক্ষেত্রে দ্রুত গতি সম্পন্ন।
৬, প্রতিটি কাজের পূর্বে অনুবাদ করার প্রয়োজন হয়।

৩, অ্যাসেম্বলার প্রোগ্রামঃ

অ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করার জন্য ব্যবহৃত অনুবাদক প্রোগ্রামকে বলা হয় অ্যাসেম্বলার।এটি অ্যাসেম্বলি লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন কোড বা যন্ত্র ভাষায় অনুবাদ করে।

♦ অ্যাসেম্বলার এর প্রধান কাজ সমূহ হলোঃ
১,নেমোনিক কোডকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করা।
২,সাংকেতিক ঠিকানাকে মেশিন ভাষায় লেখার ঠিকানায় রুপান্তরিত করা।
৩,প্রত্যেকটি নির্দেশ ঠিক কিনা তা পরীক্ষা করা।
৪,সব নির্দেশ ও তথ্য প্রধান স্মৃতিতে রাখা।
৫,সহায়ক স্মৃতিতে বস্তু প্রোগ্রাম তৈরি করা।

♦আপাততো সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ্‌র কাছে সবসময় এই দোয়াই করি। আল্লাহ্‌ হাফেজ…


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post